নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন : অবশেষে নুর হোসেনের রিমান্ড শুনানী হতে যাচ্ছে,তবে সাত সাত খুনের মামলায় নয়, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন অপহরণ মামলায় এবং নূর হোসেনকে রিমান্ডের আদেশ না দিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওই দিন তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদনও দাখিল করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালত বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে একই আদালতে নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিক আহম্মেদ।
আইনজীবী রফিক আহম্মেদ জানান, নূর হোসেন ভারতের কারাগার থেকে একটি চিঠি প্রেরণ করে। ওই চিঠিতে ইসমাইল অপহরণের ঘটনার সঙ্গে র্যাব ও তার (নূর হোসেন) সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করা হয়, যে কারণে ইসমাইল অপহরণ মামলায় আদালতে নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত শুনানির জন্য ১৩ জানুয়ারী দিন ধার্য করেন।
এদিকে কোর্ট পুলিশের এসআই গোলাম হোসেন জানান, আদালত ১৩ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানিতে তদন্তে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। রিমান্ড পস্রঙ্গে আদালত বলেছেন, তদন্তকালীন আসামির রিমান্ডের আবেদনের বিষয়টি একান্তই তদন্তকারী কর্মকর্তার স্বেচ্ছাধীন বিষয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাইক্রোবাস থামিয়ে বন্ধু হিরনকে মারধর করে ফিল্মি স্টাইলে ইসমাইলকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃতের ছোট ভাই মামলার বাদী আবদুল মান্নান জানান, ঘটনার পর ইসমাইল অপহরণের অভিযোগে মামলা করতে চাইলে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সেটা আমলে নেয়নি। গত বছরের ১২ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে র্যাব-১১ এর চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা ও নূর হোসেন, তার শ্যালক নূর আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে বিচারক মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে সাত খুনের ঘটনার প্রতিবেদনের সঙ্গে এ অপহরণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন। মামলার বাদী মান্নানের দাবি, নূর হোসেনকে ইসমাইল অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হলে ইসমাইল কোথায় আছে তা জানা যাবে এবং অনেক রহস্য উন্মোচন হবে।
Leave a Reply